ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য সমাজে ট্রান্সফোবিয়ার জন্ম দেয়

লেখক: কুরুপা (ছদ্মনাম)

 
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি একটি বক্তব্যে বললেন “ট্রান্সজেন্ডার ব্যাপারিটি মানে (পুরুষ থেকে নারী,অথবা নারী থেকে পুরুষে যারা রুপান্তরিত হয়) তারা প্রকৃতিগত নয়,তাদের বিষয়টি ইচ্ছাকৃত আর বিকৃত, কিন্ত একই ভাষনে তিনি আবার বললেন হিজড়া বিষয়টি ঠিক আছে, এটি ন্যাচারাল”
আমার কথা হচ্ছে এই পয়েন্টটিতেই, তিনি এতো এতো পড়াশুনো করে এসেছেন, এতো কিছু জানেন তাহলে তিনি কেনো এটি জানেন না হিজড়া একটি কালচার, হিজড়া একটি কমিউনিটি, জন্মের সময় কেউ হিজড়া হয়ে জন্মায়না, পৃথিবীর আর কোথাও হিজড়া কমিউনিটি নেই এই ভারতবর্ষ ছাড়া।
তিনি যদি ইন্টারসেক্স ইস্যুটি নিয়ে বলতেন, যেহেতু ইন্টারসেক্স একটি বায়োলজিকেল সেক্স, তাও বুঝতাম যে না তিনি ন্যাচারালি যে বা যারা জন্মেছে তাদেরটি অন্তত বোঝেন।
কিন্তু না, সাত খন্ড রামায়ন শুনিয়ে তিনি নিজেই যখন জানেন না সীতা কার মা তখন কেনো উনার মত ইসলামিক স্কলারদের অযৌক্তিক কথাবার্তাগুলোকে আমরা শুনবো?
বাংলাদেশে ট্রান্সফোবিয়া যে তীব্র আর ভয়ানক, ট্রান্সদের সামনে পেলে যে মানুষ খুন করে ফেলতে চায় তার জন্য এইরকম ওয়াজীরাও দায়ী।
একটি কমিউনিটি সম্পর্কে ঠিকঠাক না জেনে কি সুন্দর ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ট্রান্স বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছেন।
এই কমিউনিটির মানুষ গুলো এমনিতেই নাজুক অবস্থায় এ দেশে, তার উপর মিজানুর রহমান আজহারির মতো ওয়াজীরা যখন ট্রান্স বিদ্বেষ উসকে দেয় তখন স্বভাবতই সাধারন মানুষ এই মানুষগুলোর প্রতি ঘৃনা বিদ্বেষ আরও বাড়িয়ে দেয়।
এসব কথাবার্তা থামানোর কোন লোক নেই,সরকারও নিশ্চুপ থাকে,অথচ সরকার তাদের চুপ করিয়ে রাখে যখন কেউ কার্টুন আঁকে, যখন কেউ লিখে, সমালোচনা করে।